২২ মার্চ (ত্রিপুরা সারাদিন): আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। শুক্রবার তাঁকে তোলা হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। সেখানেই কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালই আবগারি দুর্নীতির মাথা। তাঁকে 'মূল ষড়যন্ত্রকারী' বা 'কিংপিন' বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইডির তরফে। এই প্রেক্ষিতেই ইডি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে আদালতে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার আগেই ইডি দাবি করেছিল, আবগারি নীতি তৈরি করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ নেতারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ পেয়েছিলেন। শুক্রবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, গোটা কেলেঙ্কারির কেন্দ্রে আছে 'সাউথ গ্রুপ', যার সঙ্গে আম আদমি পার্টি এবং বাকি অভিযুক্তদের যোগাযোগ ঘটাতেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে চক্রান্ত দেখছেন দিল্লির মন্ত্রী তথা এএপি নেত্রী অতিশী। শুক্রবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অতিশী বলেছেন, "বিজেপি চাইছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যেন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার না করতে পারেন, আইএনডিআই জোটের নেতাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখছি। তাঁরা সবাই কেজরিওয়ালের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।"
সাংবাদিক সম্মেলনে অতিশী আরও বলেছেন, "এই প্রথমবার একজন সিটিং মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর একটি জাতীয় দলের জাতীয় আহ্বায়ককে গ্রেফতার করা হল। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি বিজেপির চক্রান্ত।" শুধু আম আদমি পার্টী নয় কেজড়ীড় গ্রেপ্তারি নিয়ে সব বিরোধীরা মোদী সরকারের চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন।
অন্য দিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে ক্ষোভে ফুঁসছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। আবগারি নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি, তারপর থেকেই কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। ইডি-র দফতরের বাইরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এএপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি ও ইডি-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেও, তাঁর দলের বিশ্বাস, কেজরিওয়ালের ওপর ১৩৫ কোটি দেশবাসীর আশীর্বাদ রয়েছে।